Min menu

Pages

নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে যে ভুলগুলো এড়িয়ে চলা উচিত

 ফ্রিল্যান্সিং এ সাফল্য অর্জন মাত্রা অনেক বেশি। তাই দেশের তরুণরা ফ্রিল্যান্সিং এ ক্যারিয়ার গড়ার জন্য ঝুঁকছে। তবে ফ্রিল্যান্সিং এর সম্ভাবনা এই জায়গা থেকে সঠিক দিক নির্দেশনার অভাবে অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হিমসিম খায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে হলে কোন ভুল গুলো এড়িয়ে চলা উচিত। 



নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে যে ভুলগুলো এড়িয়ে চলা উচিত

স্কিল ছাড়াই ফ্রিল্যান্সিং শুরু করা বা কম স্কিল থাকা 

নতুন অনেকেই কাজ সম্পর্কে অল্প ধারনা বা সামান্য কিছু কাজ শিখে ফ্রিল্যান্সিং করতে আসে। এটা অত্যন্ত ভুল একটা পদক্ষেপ। আপনি সেই বিষয় নিয়ে কাজ করুন যেটাতে আপনি পারদর্শী বা সেই বিষয় সম্পর্কে না জেনে থাকলে সেটা সম্পর্কে জানুন এবং কাজ শিখুন। ক্লায়েন্ট আপনাকে কাজ দিয়ে অবশ্যই এক্সপেকট করবে যে কাজটি আপনি অন্যদের চেয়ে ভালো ভাবে করবেন। আপনার যদি স্কিল না থাকে এবং কাজ সম্পর্কে ভালো জ্ঞান না থাকে তাহলে আপনি কাজটি ভালো করে সম্পন্ন করতে পারবেন না। এবং কাজ ভালো করতে না পারলে আপনি কখনো ফ্রীল্যান্সিং করে সফল হতে পারবেন না। তাই আপনার আগ্রহের বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করে ফ্রীল্যান্সিং করুন। 

বিনামূল্যে কাজ করা

নতুন ফ্রিল্যান্সারা এই ভুলটা বেশি করে থাকে। নতুন ফ্রিল্যান্সারা কাজ পাওয়া জন্য অনেক সময় ফ্রিতে কাজ করে দেয়। ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনার পোর্টফোলিও সাজানো একান্ত জরুরি। তবে তাই বলে ফ্রি কাজ করা উচিত নয়। 

আপনি আপনার সবচেয়ে বেষ্ট কাজগুলো একত্রিত করে একটা ওয়েবসাইট তৈরি অথবা পিডিএফ বা গুগল ডকস এ সাজিয়ে ক্লায়েন্ট এর সামনে তুলে ধরতে পারেন। তবে ফ্রি তে কাজ করা থেকে বিরত থাকুন। 

স্বল্প সময়ের জন্য ফ্রিলান্সিং করার ভাবনা

অনেকেই ভাবেন কোন একটা কাজ শিখে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস জয়েন করেই কাজ পেঢয়ে যাবেন। এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। ফ্রিল্যান্সিং একটা দীর্ঘ মেয়াদি প্রোসেস। অনেকটা ব্যবসার মতো। এখানে আপনি প্রতি নিয়তো এক বা একাধিক ক্লায়েন্টদের সাথে কাজ করবেন।

ফ্রিল্যান্সিং এ কাজের কোন নির্দিষ্ট পরিমাণ নেই। এখানে কোন মাসে একাধিক কাজ পেতে পারেন আবার কোন মাসে একটাও না। তাই যদি ফ্রিল্যান্সিং করে সফল হতে চান তাহলে একটা দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে তারপর শুরু করুন।

আত্মবিশ্বাসের অভাব 

ফ্রিল্যান্সিং এ সাফল্যের পথে প্রথম বাঁধা হলো নিজের প্রতি বিশ্বাস না থাকা। অন্যদের কাজ করার আগে আপনাকে আপনার নিজের এবং আপনার কাজের প্রতি বিশ্বাস থাকতে হবে। তাহলে আপনি ক্লায়েন্টদের কাজগুলো সবচেয়ে ভালো ভাবে করতে পারবেন। 

ঘন্টাপ্রতি চার্জ কম রাখা 

নতুন ফ্রিল্যান্সারা এই ভুলটা করে থাকে। নতুনরা ভাবে যদি তারা তাদের কাজের পার আওয়ার চার্জ কম রাখে তাহলে হতো তারা বেশি অডার পাবে। ধারণাটা একেবারে ভুল। আপনি নতুন আপনার কাজ সম্পর্কে কেউ জানে না তখন পার আওয়ার চার্জটা একটি বড় ইনডিকেটর হিসেবেও কাজ করবে।

একজন ক্লাইন্ট মার্কেটপ্লেসে কাজ স্বাভাবিক রেট জেনেই সে তার কাজের জন্য ফ্রিল্যান্সার খুঁজে। যদি আপনি পার আওয়ার চার্জ স্বাভাবিক এর চেয়ে কম রাখেন তখন ক্লাইন্ট কাছে আপনার কাজ সম্পর্কে একটু ভুল ধারণা সৃষ্টি হয়। ফলে ক্লাইন্ট আপনাকে দিয়ে কাজ করাতে আগ্ৰহ হারিয়ে ফেলে। তাই ঘন্টাপ্রতি চার্জ কম না রেখে মার্কেটপ্লেস অনুযায়ী রাখার চেষ্টা করুন। 

খারাপ ক্লায়েন্ট চিনতে না পারা 

ফ্রিল্যান্সিং লাইফে এমন কিছু ক্লায়েন্ট এর দেখা কম বেশি সবাই পায়। এরা প্রতিশ্রুতির চেয়ে বেশি কাজ দাবি করবে, দেরিতে পেমেন্ট করবে, যথাসময়ে যথাযথ রেসপন্স করবে না, ইত্যাদি। এদের কে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। কারন এরা আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করবে। তাই এসব ক্লায়েন্টের সাথে সময় নষ্ট না করে সঠিক সুযোগের সন্ধান করুন। 

নেটওয়ার্ক এর মধ্যে না থাকা 

মার্কেটিপ্লেসে ক্লায়েন্ট কাছে আপনাকে সুন্দর ভাবে উপস্থাপনের জন্য একটা একাউন্ট তৈরি করতে হবে। সুন্দর ভাবে একাউন্ট তৈরি করলেই যে সেটা ক্লায়েন্টের কাছে পৌঁছে যাবে তা নয়। আপনাকে প্রতিনিয়ত ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করতে হবে এবং সর্বদা অনলাইনে থাকার চেষ্টা করতে হবে যাতে কোন ক্লায়েন্ট আপনাকে নক দিলে আপনি সাথে সাথে তার উত্তর দিতে পারেন। অনেক সময় অনলাইনে না থাকার কারণে ক্লায়েন্ট নক দিয়ে সারা না পেয়ে সে তার কাজের জন্য অন্য কাউকে খুঁজতে শুরু করে। তাই সর্বদা নেটওয়ার্ক এর মধ্যে থাকা উচিত। 

ডেডলাইনের মধ্যে কাজ জমা না দেয়া 

সঠিক সময় কাজ না করায়, অনেক অনেক প্রজেক্ট নেওয়া কারনে অথবা নির্দিষ্ট রুটিন অনুযায়ী কাজ না করায় অনেক সময় কাজ ডেলিভারি দেওয়ার ডেডলাইন ওভার হয়ে যায়। এতে ক্লায়েন্ট আপনার প্রতি বিশ্বাস হারায় এবং ওই ক্লায়েন্ট দ্বারা পরবর্তিতে আরো কাজ পাওয়ার আশা মনে যায়। যদি কোন গুরুত্বপূর্ণ কারনে ডেড লাইন ওভার হয়ে যায় তাহলে ক্লায়েন্ট সেটা সুকৌশলে বুঝিয়ে নতুন ডেডলাইন নিন। এবং ডেড লাইন ওভার হওয়ার আগেই কাজ জমা দেওয়ার চেষ্টা করুন।

কমিউনিকেশন স্কিল 

ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগ, তার কাছ থেকে কাজ সম্পর্কে বুঝে নেওয়া, তাকে কাজ বুঝিয়ে দেওয়া জন্য কমিউনিকেশন স্কিল বিশেষ প্রয়োজন। যেহেতু ফ্রিল্যান্সিং বেশিরভাগ কাজটা বিশ্বের যেকোন দেশে থেকে হতে পারে তাই তাদের সাথে কথা বলা জন্য ইংলিশ জানা প্রয়োজন। যদি আপনার ইংলিশে দূর্বলতা থাকে তাহলে এটা ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগ করতে অসুবিধা হবে।

Comments