একাউন্টে ব্লু ভেরিফিকেশন পাওয়া একটি কঠিন প্রক্রিয়া, তবে চিন্তা কোনো কারন নেই।
ফেসবুক পেজ বা ফেসবুকে একাউন্টে কিভাবে ব্লু ভেরিফিকেশন পাবেন এই পোস্টে সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানানো চেষ্টা করবো।
বতমানে বড় বড় পেজ ও সেলিব্রিটি তাদের ফেসবুক একাউন্ট এ এই blue verification mark পেয়ে থাকে বা লাগিয়ে থাকে। এজন্য অনেকেই মনে করেন blue verification পেতে বড় কোনো সেলিব্রিটি হয়ে হয়। কিন্তু না আপনি চাইলেই এই blue verification mark পেতে পারেন, তবে প্রক্রিয়াটা একটু কঠিন।
ফেসবুক ব্লু ভেরিফিকেশন কি?
Facebook ভেরিফিকেশন হল একটি অ্যাকাউন্ট বা পৃষ্ঠা যাচাই করার প্রক্রিয়া যা অন্য ব্যবহারকারীদের দেখানোর জন্য যে এটি প্ল্যাটফর্মে আপনার প্রামাণিক উপস্থিতির প্রতিনিধিত্ব করে। একটি যাচাইকৃত অ্যাকাউন্টের নামের পাশে একটি নীল চেকমার্ক ব্যাজ প্রদর্শিত হবে:
2009 সালে পাবলিক ফিগার বা উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠানের প্রকৃত অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করার উপায় হিসেবে টুইটার দিয়ে সামাজিক মিডিয়া অ্যাকাউন্ট যাচাই করা শুরু হয়। পরবর্তীতে Facebook 2013 সালে নিজস্ব ব্লু ভেরিফিকেশন চেকমার্কের চালু করে। তারপর 2014 সালে ইনস্টাগ্রামে ও ভেরিফিকেশন চেকমার্কের চালু করে।
কেন আপনার ফেসবুক পেজ verification করবেন?
অনলাইনে ব্র্যান্ডের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রতিষ্ঠার জন্য Facebook ভেরিফিকেশন করা একটি দুর্দান্ত উপায়। আপনার প্রতিষ্ঠান বা একাউন্টে মালিক আসলেই আপনি কিনা সেটা অন্যদের বোঝানোর জন্য ভেরিফিকেশন করা অতি জরুরী।
এছাড়াও একই মানে একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা ফেসবুক পেজ থাকতে পারে। সেই সকল পেজ থেকে কোনটা আসল প্রতিষ্ঠান বা পেজ সেটা বোঝানোর জন্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ফেসবুক ব্লু ভেরিফিকেশন মার্ক লাগিয়ে থাকে।
ফেসবুক ব্লু ভেরিফিকেশন করতে কি কি লাগে?
ব্লু ভেরিফিকেশন করার জন্য আপনার যে সব জিনিস প্রয়োজন হবে। এগুলো না থাকলে আপনি ব্লু ভেরিফিকেশন করতে পারবেন না।
ন্যাশনাল আইডি কার্ড/ গাড়ির লাইসেন্স অথবা পাসপোর্ট এর ছবি বা স্ক্রিন কপি।
আগে নিজের সঠিক নাম। যা আইডি কার্ডের সাথে ম্যাচ করবে।
অনেক সময় ফেস ফ্রন্ট ক্যামেরা দিয়ে আইডেন্টিটি করতে হবে। তখন তাই করে নিতে হবে।
ভিউয়ার দের রেসপন্স ইত্যাদি।
কীভাবে ফেসবুকে ব্লু ভেরিফিকেশন ব্যাজের জন্য আবেদন করবেন?
ফেসবুক blue verification করার জন্য (Facebook verification form link) এ লিংকে গিয়ে আপনার ফেসবুক একাউন্ট লগইন করুন বা আগে থেকে লগইন করা থাকলে আপনার সামনে একটা ফরম ওপেন হবে।
ফরম থেকে প্রথমে আপনাকে আপনি কি ভেরিফিকেশন করতে চান সেটা সিলেক্ট করতে হবে। যদি পেজ করেন তাহলে পেজ আর প্রোফাইল করলে প্রোফাইল সিলেক্ট করুন।
এরপর ভেরিফিকেশনের জন্য ডকুমেন্ট সাবমিট করতে হবে আপনি NID বা পাসপোর্ট অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স যেকোনো একটি দিয়ে ভেরিফিকেশন করতে পারবেন। ফাইল টাইপ স্কান কফি বা ছবি তুলে দিতে পারেন।এরপর আপনার পেজ এর কোন বিষয়ে সেটা সিলেক্ট করুন এবং আপনার দেশ এর নাম সিলেক্ট করুন।
ফরম পূরণ করে send করা হয়ে গেলে এরপর আপনার কাজ শুধু অপেক্ষা করা। ফেসবুক আপনার আবেদন গ্ৰহণ করার পর, তারা আপনার আবেদন পর্যালোচনা করবে এবং তার এটা ভেরিফিকেশন করবে না বাতিল করবে সেটা জানাবে। এই কাজ 48 ঘন্টা থেকে কোন কোন ক্ষেত্রে 45 দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।