Main menu

Pages

ওয়েবসাইট সুরক্ষিত রাখার উপায়

বর্তমানে আমরা নানা কাজে ওয়েবসাইট তৈরি করে থাকি যেমন- ব্যবসা জন্য, অনলাইনে আয়ের জন্য, ব্লগিং এর জন্য কিংবা শখের বশে। এবং অধিকাংশ WordPress দিয়ে তৈরি করা হয়। আপনার এই স্বাদের ওয়েবসাইটটিকে হ্যাকার বা দুষ্টু লোকেদের হাত থেকে রক্ষা করা অতি গুরুত্বপূর্ণ।

যেহেতু বর্তমানে WordPress অনেক জনপ্রিয় এবং বিশ্বের প্রায় ৪০, ০০, ০০০ ওয়েবসাইটের মধ্যে ১২ % এটি ব্যবহার করে। সেহেতু WordPress site কিভাবে সুরক্ষিত রাখার যায় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চেষ্টা করবো। 



ওয়ার্ডপ্রেস নিয়মিত আপডেট রাখাঃ

WordPress নিয়মিত আপডেট রাখা ওয়েবসাইটে নিরাপত্তা রাখার প্রথম ধাপ। ওয়ার্ডপ্রেস তাদের নতুন আপডেটে নতুন নতুন সিকিউরিটি চেঞ্জ নিয়ে আসে এবং আগে সফটওয়্যারে থাকা বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করে থাকে। তাই নতুন আপডেট আসলে সেটা দেওয়া উচিত এতে আপনার সাইটের সিকিউরিটি সিস্টেম আরো উন্নত হয়ে উঠে। এছাড়াও আপডেট না দেওয়া হলে পূর্ববর্তী সফটওয়্যারের ত্রুটিগুলার মাধ্যমে সহজেই আপনার ওয়েবসাইটটি হ্যাকারা হ্যাক করতে পারবে।

ভালো হোষ্টিং কম্পানি নির্বাচন করুনঃ

ওয়েবসাইটের সিকিউরিটির ক্ষেত্রে হোষ্টিং কম্পানি একটা বিশেষ ভূমিকা পালন করে। যদি আপনি আপনার হোস্টিং প্রোভাইডারের প্রতি আত্মবিশ্বাস না হন তাহলে এখনি হোষ্টিং কম্পানি পরিবর্তন করুন। WPTemplate.com এর মতো বর্তমানে হোষ্টিং কম্পানির দূর্বলতার কারনে 41% WordPress সাইট হ্যাকের শিকার হয় এবং যা এখন সহজ এবং ভালো একটা হ্যাকিং সিস্টেমে পরিনত হয়েছে।

নিয়মিত সাইটের ব্যাকআপ রাখাঃ

ওয়েবসাইট নিরাপত্তার জন্য ওয়েবসাইটে ব্যাকআপ রাখা অনেক জরুরী। যদি কোন কারনে আপনার সাইটের সকল ডেটা মুছে বা ডিলিট হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে ব্যাক ফাইল ব্যবহার করে পূনরায় তা ফিরিয়ে আনতে পারবেন। আর ওয়েবসাইটে ব্যাকআপ করার জন্য WordPress এ অনেক tools এবং plugin রয়েছে সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন।

থিম ও প্লাগইন আপডেটেড রাখাঃ

আপনার ওয়েবসাইটে ব্যবহারিত থিম ও প্লাগইন নিয়মিত আপডেট করুন। এছাড়াও কোন থিম ও প্লাগইন ব্যবহারের পূর্বে সে সম্পর্কে জেনে নিন। অপ্রয়োজনী প্লাগইন এবং থিম ডিলিট করে দিন।

জটিল পাসওয়ার্ড ব্যবহার করাঃ

হোষ্টিং এবং WordPress এ লগইন পাসওয়ার্ড সর্বদা জটিল দেওয়া উচিত। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সহজ পাসওয়ার্ড ব্যবহারের জন্য অতি সহজেই তা হ্যাক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

সিকিউরিটি প্লাগইন ব্যবহার করেঃ

আপনি উপরের উল্লেখিত ধাপ গুলো অনুসরণ করার পরও, আপনি কিছু প্লাগইন ব্যবহার করে আপনার সাইটকে আরো নিরাপদ বানাতে পারেন। আপনি নিরাপত্তার জন্য ওয়েবসাইটে এই সকল প্লাগইন ব্যবহার করতে পারেন।
1. SiteLock
2. iThemes Security
3. Login Lockdown
4. WordFence

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই WordPress ব্যবহারকারীরা তাদের সাইটের নিরাপত্তার দিকে ততটা খেয়াল দেয় না যতটা তাদের দেওয়া উচিত। উপরের উল্লেখিত ধাপগুলো অনুসরণ করার মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা অনেক অংশে কমাতে পারবেন।