কিশমিশের ইংরেজি হচ্ছে রেইজিন। তবে রেইজিন কিন্তু সব কিশমিশ নয়! এ নিয়ে নানা দেশে বিভ্রান্তির কোনো শেষ নেই। আমাদের দেশে যে সোনালি রঙের ছোট-বড় আকৃতির সুন্দর কিসমিস পাওয়া যায়, তাকে ‘সুলতানা’ বলা হয়। বীজহীন সবুজআঙুর থেকে হয় এটি। আর কালো আঙুর থেকে হয় ‘রেইজিন’। এটি দেখতে সুলতানা থেকে কালো বা একটু বেশি বাদামি রঙেরহয়ে থাকে। এই দুটি ছাড়াও ‘কারেন্ট’ নামের কিশমিশ রয়েছে। কারেন্ট সুলতানা ও রেইজিনের চেয়ে আকৃতিতে ছোট ও স্বাদেএকটু টক ধাঁচের হয়ে থাকে। এ জন্য ইউরোপ আমেরিকায় মিষ্টির পাশাপাশি ঝাল খাবারে এটি ব্যবহৃত হয়।
শক্তি বা ক্যালরির চমৎকার উৎস কিশমিশ। নানা পদের মিষ্টান্ন রান্নায় এটি যুগযুগ ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। শুধু রান্না নয়, নানা ব্যবহার আছে কিশমিশের। যেমন ধরুন স্বাস্থ্যকর পানীয় বানাতে অথবা পর্বতারোহীদের জন্য শক্তিদায়ী নানা খাদ্যোপকরণ তৈরিতে কাজে লাগে এই প্রকৃতিক উপাদানটি। কিসমিস নানা গুণে সমৃদ্ধ।
মহিলা এবং পুরুষ দৈনিক কতটা কিশমিশ খেতে পারবে:
যেভাবে কিশমিশ খাবেন:
রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ১৫ টা কিসমিস একগ্লাস জলে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে খালি পেটে তা ছেঁকে খেয়ে নিন।এতে কিশমিশের মধ্যে থাকা খনিজ, ভিটামিন জলে দ্রবীভূত হয়। ফলে কিসমিস থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টি শরীর পায়।
বেশ কিছু গবেষণাতে দেখা গিয়েছে, রাতারাতি ভিজিয়ে রাখা কিসমিস খেলে শরীরে নাইট্রিক অক্সাইডের মাত্রা বেড়ে যায়। আরএতে শরীরে আয়রনের পরিমাণও বাড়ে। যাঁদের রক্তাল্পতার সমস্যা রয়েছে তাঁরা নিয়মিত ভাবে এই জল খেতে পারলে কিন্তুউপকার পাবেন। বাড়বে লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যাও। এছাড়াও জলে কিশমিশ ফেলে সিদ্ধ করেও কিন্তু সেই জল ছেঁকে খেতেপারেন। কিসমিস জল ওজন কমানোর পাশাপাশি কিন্তু শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতেও সাহায্য করে। যা এই গরমে ভীষণ রকমজরুরি। দু-কাপ জলে ১৫০ গ্রাম কিশমিশ ফুটিয়ে নামিয়ে নিন। এবার তা কিন্তু ঠান্ডা করে খাবেন।