Main menu

Pages

জিমেইল একাউন্ট সুরক্ষিত রাখার উপায়

 যারা বর্তমানে বিনামূল্যে ইমেইল ব্যবহার করেন তাদের বেশির ভাগই জিমেইল এর উপর নির্ভরশীল। প্রায় বিশ্বের ১.৫ বিলিয়ন মানুষ গুগলের এই ফ্রি সার্ভিস টি ব্যবহার করে থাকেন।

এছাড়াও জিমেইল একাউন্ট দিয়ে গুগল অন্যান্য সার্ভিস গুলো সহজে ব্যবহার করা যায়। গুগল ক্লাউড স্টোরেজ এবং গোপনীয় তথ্য আদান-প্রদান ইত্যাদি গুগলের মাধ্যমে বেশি করে থাকি।

এমনিতেই গুগল অনেক নিরাপদ তারপর এইসকল তথ্য হ্যাকারদের হাতে থেকে রক্ষা করতে আমাদের বাড়তি কিছু সচেতনতা অবলম্বন করা উচিত।

জিমেইল একাউন্ট সুরক্ষিত রাখার জন্য কিছু উপায় অবলম্বন করতে পারেন। 



জিমেইল একাউন্ট সুরক্ষিত রাখার উপায়

নিয়মিত সিকিউরিটি চেক-আপ করুন

আপনার জিমেইল এর গোপনীয় ও নিরাপত্তর সকল বিষয় সিকিউরিটি চেক আপ এ পেজে দেখতে পারবেন। সিকিউরিটি চেক-আপ করতে আপনার জিমেইল একাউন্ট এর সিকিউরিটি পেজে প্রবেশ এখানে ক্লিক (https://myaccount.google.com/security-checkup) করুন।

সিকিউরিটি চেক-আপ পেজে আপনি আপনার একাউন্ট যেসকল বিয়ষ দেখতে এবং জানতে পারবেন তা হল।

জিমেইল একাউন্ট দ্বারা লগইন হওয়া ডিভাইসের নাম, সংখ্যা এবং লোকেশন।
রিসেন্ট সিকিউরিটি এক্টিভিটি
থার্ড-পার্টি অ্যাকসেস ও
সেভ করে রাখা পাসওয়ার্ডসমুহ। 

রিকভারি ইমেইল ও ফোন নাম্বার 

জিমেইল এ রিকভারি ইমেইল ও ফোন নম্বর এড করা অনেক জরুরী। পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে বা অন্য কোন কারণে ভেরিফিকেশনের প্রয়োজন পড়লে রিকভারি ইমেইল বা মোবাইল নাম্বার দিয়ে তা করতে পারবেন। এছাড়াও এগুলো এড করার আরো কিছু সুবিধা রয়েছে।

আপনার অনুমতি ছাড়া অন্য কেউ আপনার জিমেইল একাউন্টে লগিন বা access করতে গেলে ব্লক করতে পারবেন
একাউন্টে কোনো সন্দেহজনক একটিভিটি সম্পর্কিত এলার্ট পাবেন
পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে বা অন্য কোন কারণে ভেরিফিকেশনের প্রয়োজন পড়লে তা করতে পারবেন 

টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন

আপনার অনুমতি ছাড়া যদি কেউ আপনার জিমেইল বা গুগল একাউন্ট লগইন করার চেষ্টা করে বা হ্যাক করে এক্ষেত্রে টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন তা করতে বাধা সৃষ্টি করবে। টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন চালু থাকলে যখনি আপনার জিমেইল একাউন্ট কোনো ডিভাইসে লগইন করতে যাবে তখন আপনার মোবাইল নাম্বারে একটা otp কোড পাঠাবে যেটা ব্যবহার করে লগইন করতে হবে। 

আপডেটেড সফটওয়্যার ব্যবহার 

গুগল তা ব্যবহারকারীদের সব সময় তাদের গুগল বা জিমেইল একাউন্ট সুরক্ষিত রাখতে আপডেটেড অপারেটিং সিস্টেম, ব্রাউজার ও অ্যাপ ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকে‌। কারন আপডেটেড সফ্টওয়্যার গুলোতে লেটেস্ট সিকিউরিটি ফিচার যুক্ত থাকে তা ব্যবহারকারীর জিমেইল একাউন্ট এবং তাদের ডিভাইসে থাকা তথ্য সুরক্ষিত রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। 

শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার

যে কোন একাউন্ট এর ক্ষেত্রে পাসওয়ার্ড সুরক্ষার প্রথম এবং প্রাথমিক ধাপ হিসাবে কাজ করে। কিন্তু পাসওয়ার্ড মনে রাখার জন্য আমরা অনেক সময় কমন জিনিস যেমন কারো নাম, নাম্বার বা কোন বাক্য ব্যবহার করে থাকি। এক্ষেত্রে পাসওয়ার্ড অনুমান করা অনেক সহজ হয়ে যায়। তাই শুধু জিমেইল বা গুগল একাউন্টই নয় বরং সব একাউন্ট এ সর্বদা ইউনিক এবং আলাদা পাসওয়ার্ড ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।
একটি শক্তিশালী ও ইউনিক পাসওয়ার্ড এ যা থাকা উচিতঃ 

  • ৮ বা তার অধিক অক্ষর(যত বেশি, ততো ভালো)
  • আপারকেস ও লোয়ারকেস অক্ষর এর সংমিশ্রণ
  • অক্ষর ও নাম্বার এর সমন্বয়
  • কমপক্ষে একটি স্পেশাল ক্যারেক্টার( ! @ # ? ] – ) ব্যবহার করুন 

সন্দেহজনক মেসেজ ও কনটেন্ট এড়িয়ে চলা

সব ধরনের সিকিউরিটি দিয়ে আপনার জিমেইল একাউন্ট সুরক্ষিত রাখা সম্ভব হবে না, যদি না আপনার ব্যবহারিত ডিভাইসটি অসুরক্ষিত হয়। হাজারো রকম ম্যালওয়্যার এর ভিড়ে আপনার ডিভাইস ও এতে থাকা একাউন্ট এবং তথ্য সমূহ ঝুঁকিতে পড়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়।

এ থেকে বাঁচার একটাই উপায় সেটা হলো সন্দেহজনক মেসেজ, কনটেন্ট ও লিংক এড়িয়ে চলুন। সিকিউর না এমন সাইট গুলো এড়িয়ে চলুন। যেখানে সেখানে মেইল এড্রেস দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।

এ ছাড়া কম্পিউটারে অনলাইন সিকিউরিটি নিশ্চিত করতে এন্টিভাইরাস সফটওয়ার ব্যবহার করুন। এভাস্ট এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার বিনামূল্যেই সিকিউর না এমন সাইট প্রবেশ ব্লক করে আপনার একাউন্টকে নিরাপত্তা দিবে।