Main menu

Pages

ভোটার স্থানান্তর করার নিয়ম

 ভোটার আইডি কার্ড প্রতি মানুষের অতি গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরী সনদ। এটার মাধ্যমে আমরা এদেশের নাগরিক তার প্রমাণ দিয়ে থাকি‌। তাই ভোটার আইডি কার্ডে সঠিক তথ্য থাকা অনেক জরুরী।

অনেক সময় দেখা যায় ভোটের সময় নিজ এলাকায় উপস্থিত হয়ে ভোট দেওয়া বা ভোটার তালিকা নাম তোলা সম্ভব হয় না। তখন অন্য এলাকা থেকে ভোটার হতে হয় যার ফলে আইডি কার্ডে স্থায়ী ঠিকানা ওই অস্থায়ী এলাকার নাম দিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তিতে নিজ এলাকায় আসলে ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা ও ভোট দেওয়া নিয়ে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।

সেক্ষেত্রে ভোটার স্থানান্তর করার অতি জরুরী হয়ে পড়ে। এই পোস্টে আমি আপনাদের ভোটার স্থানান্তর বিষয় বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করবো। 



ভোটার স্থানান্তর করার নিয়ম

ভোটার স্থানান্তরের জন্য করনীয়

ভোটার স্থানান্তর করা জন্য আপনাকে যেসকল ডকুমেন্ট সাবমিট করতে হবে তার তালিকা দেওয়া হলো।

১. সঠিকভাবে ফরম-১৩ পূরণ।
২. জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি।
৩. মেয়র/ ওয়ার্ড কাউন্সিলর/ ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক ভোটার স্থানান্তর সম্পর্কিত প্রত্যয়ন পত্র।
৪. ইউটিলিটি বিল/ ট্যাক্স কপি।
৫. নিজ/ সন্তানদের জন্মনিবন্ধন সনদ/ টিকা কার্ড।
৬. পিতা মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি।
৭. স্বামীর জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি।
৮. কাবিননামার সত্যায়িত ফটোকপি।

এই সকল কাজ সংগ্ৰহ করতে হবে ভোটার স্থানান্তর করার জন্য। যদি সব গুলো কাগজ ঠিক করতে জোগাড় করতে না পারেন তবে ফরম, প্রত্যয়ন পত্র, ইউটিলিটি বিল ও পিতার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি নিয়ে যাবেন।

ফরম- ১৩ কোথায় পাবেন?



ভোটার স্থানান্তর ফরম বা ফরম-১৩ আপনি সরাসরি জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে বা গুগলের "ভোটার স্থানান্তর ফরম লিখে সার্চ দিলে পেয়ে যাবেন" সেটা থেকে ডাইউনলোড করে প্রিন্ট করে নিতে পারেন বা নিকটস্থ কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে বললে পেয়ে যাবেন।

ফরম ও কাগজ নিয়ে কোথায় যোগাযোগ করবেন?

ফরম পূরণ করে এবং সকল প্রকার ডকুমেন্ট নিয়ে আপনি যে জেলার ভোটার হতে চান সেই জেলার নির্বাচন অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করুন। সেখানে গিয়ে ভোটার স্থানান্তর কথা বললে এবং আপনার ফরম ও কাগজ জমা দিলে তারা আপনাকে বাকি দিক নির্দেশনা দিয়ে দিবে‌।

এই সকল কাজ নিয়ে অবশ্যই যে ভোটার স্থানান্তর করবে তার নিজেকে নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করতে হবে। নাহলে আপনার ভোটার স্থানান্তর করা হবে না।